
মেহেদী হাছান, ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি
ফরিদগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর সোমবার সকালে বর্ণাঢ্য র্যালি ফরিদগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের কার্যালয় থেকে বের হয়ে গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে আ.লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
সভায় উপজেলা আ.লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শহিদ উল্যাহ তপাদারের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি ও ফরিদগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ ড. মোহম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ দেশ স্বাধীন হয়েছে এবং লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও জীবনদান এ পতাকার জন্যেই হয়েছে। এ পতাকাকে সমুন্নত রাখা মুক্তিযুদ্ধাদের পাশাপাশি আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমরা যে যেই অবস্থানে আছি এবং যে যেই দল করিনা কেন আমরা যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মেনে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সোনার বাংলা উপহার দিতে পারি।
তিনি বলেন, চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এম এ ওয়াদদুকে নিয়ে একটি চক্র মিথ্যাচার শুরু করেছে। যারা মুক্তিযোদ্ধা হয়ে অপর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং মিথ্যাচার করে তাদের মধ্যে মধ্যে দেশ প্রেম নেই। তারা দেশ প্রেমিক হতে পারেনা। তারা মুখে বঙ্গবন্ধুর নাম বল্লেও তাদের অন্তরে অন্য কিছু।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধারাসহ আমরা যাহারা বহু প্রতিকুলতা পেরিয়ে এ পর্যন্ত এসেছি আমরা জানি সূর্য শুধু অস্ত যায়না এটা আবার উদয়ও হয়, এটাই প্রকৃতির নিয়ম। আমরা যারা আ.লীগ করি আমরা সবাই শেখ হাসিনা মুখি, তিনি যাকে বা যাদেরকে নৌকা প্রতিক দিয়ে ফরিদগঞ্জে পাঠিয়েছেন আমরা তাদেরকে সম্মানের চোখে দেখি, এটা আমাদের প্রধান কর্তব্য। আমাদের দূর্ভাগ্য তখনই অনুভব করি যখন কুকুরে লেজ না নেড়ে, লেজে কুকুর নাড়ে। যখন আমরা মূল যিনিসটা বুঝে যাই শেখ হাসিনা, নৌকা ও আ.লীগের কারনে এ সকল পদপদবিতে এসেছি, আমাদের অনেকের মধ্যে এ চিন্তার সৃষ্টি হয়, আমরা মনে হয় জমিদারী ষ্টেটা কিনেছি এবং সেই জমিদারীকে আমার ব্যক্তিগত কাজে লাগাবো, এটা আমাদের মধ্যে থাকা উচিত নয়। পরিশেষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সহিদ উল্যা তপদারের সাথে ঘটনার তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
মুক্ত দিবসের কর্মসূচীর উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ। তিনি বক্তব্যে বলেন, আগামী বছরের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই কারণে বসন্তের কুকিলদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। তারা নির্বাচনী যুদ্ধে অংশ নিতে ভয় পেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি, ভয়ভিতি ও মিথ্যাচার শুরু করেছে। আমরা চাঁদপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধারা এক এবং ঐক্যবদ্ধ। কোন ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। সাহস থাকলে ভোটের মাধ্যমে লাড়াই করুন। মুক্তিযোদ্ধারা না চাইলে চলে যাবো। কিন্তু আপনাদের মতো মিথ্যাচার ও মানুষকে হয়রানি করবোনা।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাফেজ খান, সহকারী কমান্ডার মৃনাল কান্তি সাহা ও ইয়াকুব আলী।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন স্বপন, ওয়াহিদুর রহমান রানা, আরিফুর রহমান আজাদ, উপজেলা মুক্তিযোব্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার সরোয়ার হোসেন, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সভাপতি প্রফেসর এম তবিবুল্যাহ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক হাজী সফিকুর রহমান, মহিউদ্দিন ভূঁইয়া ইরান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক কাউছার উল আলম কামরুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুব আলম সোহাগ প্রমুখ।