
স্টাফ রিপোর্টার :
মতলব দক্ষিণ উপজেলার মোবারককান্দি গ্রামে প্রায় ৩৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া একটি রাস্তা পুননির্মাণ হওয়ায় উপকৃত হলেন ৫০টি সংখ্যালঘু পরিবারসহ প্রায় ৫ শতাধীক গ্রামবাসী।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার মোবারককান্দি গ্রামে প্রায় ৩৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া একটি রাস্তা পুননির্মাণ হওয়ায় উপকৃত হলেন ৫০টি সংখ্যালঘু পরিবারসহ প্রায় ৫ শতাধীক গ্রামবাসী।
আর এই মহতী উদ্যোগ নেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গীতিকার কবির বকুলের স্ত্রী প্রখ্যাত কন্ঠ শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নি। আজ ২৫ এপ্রিল রোববার সকালে শতবাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে নিজে উপস্থিত থকে তার গ্রামের বাড়ির দীঘির পশ্চিম পাড়ে নিজ জমির উপর দিয়ে হারিয়ে যাওয়া গ্রামিণ রাস্তাটি বাঁশের পাইলিং দিয়ে বালু ভরাট করে পুনরুদ্ধার করেন। তবে এতে তার সাথে অর্থ ও জমি দিয়ে সহায়তা করেন তার মা সাবেক স্কুল শিক্ষিকা হাসিনা বেগম ও তার ছোট ভাই সাজ্জাত হোসেন মিঠুসহ সংখ্যা পরিবারের লোকজন। বিষয়টি পুরো এলাকায় এক আলোড়ন সৃস্টি করেছে।
সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন জানায়,আমরা দীর্ঘ ৩২ বছর পর নতুন করে হারিয়ে যাওয়া রাস্তাটি ফিরে পেয়েছি। এতে আমরা ছাড়াও মোবারক কান্দি গ্রামের অন্তত ৫০০ সাধারণ মানুষ চলাচলের সুযোগ পেয়েছে। এজন্য আমরাসহ গ্রামের সবাই খুব আনন্দিত। আমরা এর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই দিনাত জাহান মুন্নিসহ তার পরিবারকে। কারণ তারা সহায়তা না করলে কখনোই এই রাস্তাটি পুনরুদ্ধার হতোনা।
সার্ভেয়ার জয়নাল গাজী বলেন,এই এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের মেয়ে দিনাত জাহান মুন্নি সংখ্যা লঘু পরিবারের চলাচলের কথা চিন্তা করে রাস্তটি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেয়ায় আমরা প্রায় সাড়ে ৩০০ ফিট লম্বা ও পাশে গড়ে ২২ফিট চড়া রাস্তাটি বের করে দি। এতে মুন্নির পরিবার জমি ও টাকা দিয়ে সহায়তা করেন ।
দিনাত জাহান মুন্নি বলেন,আমার বাবা জীবিত থাকতে এই রাস্তটি করে দিয়ে যান। কিন্তু পরবর্তীতে রক্ষণাবেক্ষন না হওয়ায় রাস্তাটি হারিয়ে যায়। এর ফলে এই এলাকার প্রায় ৫০ সংখ্যালঘু পরিবারসহ আরও অন্তত শতাধিক পরিবারের চলাচলের কোনো অবস্থা ছিলনা। এ জন্য আমাদের জমির কিছু অংশ সংখ্যালঘু ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য দান করে দিয়ে ব্যাক্তিউদ্দোগে আমরা রাস্তাটি করে দিয়েছি । এতে আমাকে আমার মা ও ছোট ভাই ছাড়াও সংখ্যা লঘু পরিবারের লোকজন সহায়তা করেন।