স্টাফ রিপোর্টার :
চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটোয়ারীর বাড়ি থেকে পাচারকালে ৩৫ বস্তা ত্রাণের চাল উদ্ধার করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধ লোকজন পাচারকৃত চাল আটক করে থানায় খবর দেয়।
চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ চাল উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রেখেছে। বুধবার রাত ৮টায় পুলিশ ওই চাল উদ্ধার করে। এই ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান রনি গা ঢাকা দেয়।
সূত্র জানায়, কল্যানপুর ইউনিয়নের অসহায় ও দুস্থদের নামে বিতরণের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে দফায় দফায় কয়েক টন ত্রাণের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটোয়ারী অসহায়দের মাঝে কিছু বিলি করার পর তার বাড়িতে গোপনে ৩৫ বস্তা চাল লুকিয়ে রাখেন।
চেয়ারম্যান রনি তার বাড়িতে মজুদ করা চাল রাতের আধারে একটি মিনি ট্রাকযোগে পাচার করার চেষ্টা করেন। পথিমধ্যে দক্ষিণ দাসাদী গ্রামের গাজীর হাট বাজারে ট্রাকভর্তি ত্রাণের চাল দেখে লোকজন তা আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
মূহুর্তের মধ্যে চেয়ারম্যান রনি পাটোয়ারী কর্তৃক হয়রানির শিকার সহস্রাধিক লোক ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে।
বিক্ষুব্ধ জনতা চেয়ারম্যান রনি পাটওয়ারীর বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রনি পাটওয়ারীর সহযোগী সফিকুল ইসলাম সফুকে বিক্ষুব্ধ জনতা বেধড়ক মারধর করে। এসময় পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন।
দাসাদী গ্রামের বাসিন্দা ডালিম, সুমন হাওলাদার, জাকির, শাখাওয়াত, রাজন, সুমন পাটওয়ারী, জসিম খান জানান, আমরা অনেক কষ্টে আছি। আমাদের কোন সহায়তা না দিয়ে চেয়ারম্যান রনি সরকারি চাল পাচার করেন। জেলে কার্ডের ৪০ কেজি চালের বিপরীতে দিয়েছে ২০ কেজি। এনিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাদের মারধর করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে। জনগনের হক মেরে রনি পাটওয়ারী ইউনিয়নে ৩টি আলিশান বাড়ি করেছেন। সরকার কতৃক তৈরি করে দেওয়া ইউনিয়ন পরিষদে অফিস না করে তার বাড়িতে অস্থায়ী অফিস তৈরি করে কার্যক্রম চালান ।
রাত সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করেন।